মিরু হাসান বাপ্পী, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি:বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় সরকারি খাস পুকুর পত্তন বা লীজ না নিয়েই কয়েকটি পুকুর মাছচাষ করে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আশা ৩টি পুকুরে অভিযান চালানো হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট শ্রাবণী রায় এই অভিযান চালান। অভিযানে ৩টি পুকুরে জাল নামিয়ে ৮৮ কেজি বিভিন্ন জাতের মাছ জব্দ করা হয়েছে। অভিযানে থানার উপ-পরিদর্শক সোলায়মান আলী, জলাশয় কমিটির সদস্য মিহির সরকার ও মিজানুর বাবু অংশগ্রহণ করেন।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, আদমদীঘি উপজেলায় প্রায় ৬ শতাধিক সরকারি খাস পুকুর ও জলাশয় রয়েছে। ওই সব পুকুর তিন বছর পর পর সরকারি ভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে পত্তন বা লীজ প্রদান করা হয়ে থাকে।
এদিকে অনেকেই সরকারি ভাবে লীজ গ্রহন করে তাতে মাছচাষ করে আসলে ও একটি মহল বেশ কিছু সরকারি পুকুর লীজ বা পত্তন না নিয়েই জবরদখল করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে মাছচাষ করে আসছে।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহি অফিসার শ্রবণী রায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালান।
অভিযানে জবরদখল করা উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের গাড়োহালির মামুন হোসেনের দীঘিপুকুর, নজরুল ইসলামের বিহিগ্রাম তারাতগাড়ী ও মোফাজ্জল হোসেনের ক্যাঞ্চাগাড়ি নামক ৩টি পুকুরে জাল নামিয়ে ৮৮ কেজি বিভিন্ন জাতের মাছ ধরে জব্দ করেন।
এসময় দখলকারিরা আত্মগোপনে যান। পরে জব্দকরা ৮৮ কেজি মাছ কুন্দগ্রাম বাজারে প্রকাশ্যে নিলামে ৭ হাজার ৭৭০ টাকা বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে জমা দেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।